দিলীপ বার্তায় চন্দ্রকোনারোড বিজেপি কিছুটা চাঙ্গা হলেও পিছু ছাড়ছে না গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব
সুমন পাত্র, চন্দ্রকোনা রোড :- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোডের বড়ডাবচার শিব মন্দিরে পুজো দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
এদিন তিনি পূজো দেওয়ার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ করেন। এবং দলীয় নেতৃত্বের সাথে কথা বলেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর, ঘাটাল, এবং চন্দ্রকোনা রোড বরাবর বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তাই সেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে এদিন তিনি দলীয় নেতৃত্বকে চাঙ্গা হবার কথা বলেন।
লোকসভার ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন মুষড়ে পড়ার কিছু নেই। রাজনীতিতে হার জিত আছে চড়াই-উতরাই আছে। একটু পিছিয়ে যাওয়া মানে যেমন হেরে যাওয়া নয়। তেমনই হেরে যাওয়া মানে হারিয়ে যাওয়া নয়। নতুন করে সংগঠন সাজাতে হবে। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। প্রকল্পগুলির সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এদিন তিনি দলীয় বৈঠকের পাশাপাশি মন্দিরে পূজো দিয়ে কিছু বৃক্ষরোপন করেন। এবং দলীয় নেতৃত্বকে বৃক্ষরোপন করতে উৎসাহ দান করেন।
চন্দ্রকোনারোড বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। গড়বেতার এক বিজেপি নেতার বর্তমান বাসস্থান চন্দ্রকোনা রোডে তাকে সহ্য করতে পারেন না চন্দ্রকোনা রোড নিবাসী অনেক নেতাই। আবার অপরদিকে গতবার রাজ্যের বিধায়ক পদপ্রার্থীর বিজেপির তালিকায় স্থান পাওয়া এক বিজেপি নেতা বিজেপির চোখের বালি বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তাকেও সহ্য করতে পারেন না অনেকে। নাম শুনলেই ছুরে দেন কটাক্ষের সুর। ঠিক তেমনই অতীতে মন্ডল সভাপতি পদে আলো করে থাকা এক মন্ডল সভাপতিও বর্তমানে ব্রাত্য বিজেপিতে। অপরদিকে বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় স্থান না পাওয়া এক বিজেপি নেতাকে নিয়েও টিটকিরি শোনা গেছে চন্দ্রকোনারোডের বিজেপির অন্দরে। সক্রিয় এক যুবনেতাকেও সহ্য করতে পারেন না বিজেপির অনেক কর্মীই। এইরকম সাংগঠনিক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষের বার্তা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অপরদিকে দিলীপ ঘোষের বার্তা পেয়ে বিজেপি শিবির একটু চাঙ্গা হলেও তাকে ঘিরে কটাক্ষের বন্যা শাসকদলের পক্ষ থেকে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কটাক্ষের সুরে জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়েছে বিজেপি থেকে। লোকসভায় মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রাম যেখানে গতবার বিজেপি জয়লাভ করেছিল। সেখানে দুটোতেই বিজেপির পরাজয় ঘটেছে। এমনকি দুর্গাপুর-বর্ধমান আসনে দিলীপ ঘোষও পরাজিত। সাধারণ মানুষ আর বিজেপিকে চাইছে না। তাই দিলীপ ঘোষই আসুক আর নরেন্দ্র মোদীই আসুক সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দেবে এবং কাছে টেনে নেবে।
অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোড ব্লকটি ঝাড়গ্রাম লোকসভার অন্তর্গত এই ব্লকটিতে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৮ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকলেও। প্রায় অধিকাংশ শহরকেন্দ্রিক বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয় ঘটেছে। অধিকাংশ স্বঘোষিত শাসকদলের বড় নেতার বুথে ধরাশায়ী শাসক দল। সেই আবহে দাঁড়িয়ে আবার পুনরায় দিলীপ ঘোষের বার্তা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ চন্দ্রকোনা রোড এর জন্য তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এখন ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। গড়বেতা তিন নম্বর ব্লক টি শালবনী বিধানসভার অন্তর্গত। এখন দিলীপ ঘোষের আজকের কড়া বার্তার পর শালবনি বিধানসভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাটিয়ে কতটা বাড়বে বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষমতা। সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
সুমন পাত্র, চন্দ্রকোনা রোড :- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোডের বড়ডাবচার শিব মন্দিরে পুজো দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
এদিন তিনি পূজো দেওয়ার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ করেন। এবং দলীয় নেতৃত্বের সাথে কথা বলেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর, ঘাটাল, এবং চন্দ্রকোনা রোড বরাবর বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তাই সেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে এদিন তিনি দলীয় নেতৃত্বকে চাঙ্গা হবার কথা বলেন।
লোকসভার ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন মুষড়ে পড়ার কিছু নেই। রাজনীতিতে হার জিত আছে চড়াই-উতরাই আছে। একটু পিছিয়ে যাওয়া মানে যেমন হেরে যাওয়া নয়। তেমনই হেরে যাওয়া মানে হারিয়ে যাওয়া নয়। নতুন করে সংগঠন সাজাতে হবে। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। প্রকল্পগুলির সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এদিন তিনি দলীয় বৈঠকের পাশাপাশি মন্দিরে পূজো দিয়ে কিছু বৃক্ষরোপন করেন। এবং দলীয় নেতৃত্বকে বৃক্ষরোপন করতে উৎসাহ দান করেন।
চন্দ্রকোনারোড বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। গড়বেতার এক বিজেপি নেতার বর্তমান বাসস্থান চন্দ্রকোনা রোডে তাকে সহ্য করতে পারেন না চন্দ্রকোনা রোড নিবাসী অনেক নেতাই। আবার অপরদিকে গতবার রাজ্যের বিধায়ক পদপ্রার্থীর বিজেপির তালিকায় স্থান পাওয়া এক বিজেপি নেতা বিজেপির চোখের বালি বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তাকেও সহ্য করতে পারেন না অনেকে। নাম শুনলেই ছুরে দেন কটাক্ষের সুর। ঠিক তেমনই অতীতে মন্ডল সভাপতি পদে আলো করে থাকা এক মন্ডল সভাপতিও বর্তমানে ব্রাত্য বিজেপিতে। অপরদিকে বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় স্থান না পাওয়া এক বিজেপি নেতাকে নিয়েও টিটকিরি শোনা গেছে চন্দ্রকোনারোডের বিজেপির অন্দরে। সক্রিয় এক যুবনেতাকেও সহ্য করতে পারেন না বিজেপির অনেক কর্মীই। এইরকম সাংগঠনিক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষের বার্তা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অপরদিকে দিলীপ ঘোষের বার্তা পেয়ে বিজেপি শিবির একটু চাঙ্গা হলেও তাকে ঘিরে কটাক্ষের বন্যা শাসকদলের পক্ষ থেকে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কটাক্ষের সুরে জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়েছে বিজেপি থেকে। লোকসভায় মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রাম যেখানে গতবার বিজেপি জয়লাভ করেছিল। সেখানে দুটোতেই বিজেপির পরাজয় ঘটেছে। এমনকি দুর্গাপুর-বর্ধমান আসনে দিলীপ ঘোষও পরাজিত। সাধারণ মানুষ আর বিজেপিকে চাইছে না। তাই দিলীপ ঘোষই আসুক আর নরেন্দ্র মোদীই আসুক সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দেবে এবং কাছে টেনে নেবে।
অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোড ব্লকটি ঝাড়গ্রাম লোকসভার অন্তর্গত এই ব্লকটিতে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৮ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকলেও। প্রায় অধিকাংশ শহরকেন্দ্রিক বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয় ঘটেছে। অধিকাংশ স্বঘোষিত শাসকদলের বড় নেতার বুথে ধরাশায়ী শাসক দল। সেই আবহে দাঁড়িয়ে আবার পুনরায় দিলীপ ঘোষের বার্তা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ চন্দ্রকোনা রোড এর জন্য তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এখন ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। গড়বেতা তিন নম্বর ব্লক টি শালবনী বিধানসভার অন্তর্গত। এখন দিলীপ ঘোষের আজকের কড়া বার্তার পর শালবনি বিধানসভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাটিয়ে কতটা বাড়বে বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষমতা। সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।