ফের বিতর্কে কড়সা, দুর্নীতির রাজধানী বলে কটাক্ষ বিজেপির
সুমন পাত্র, চন্দ্রকোনা রোড :- গাছ কাটার পর মাটি পাচার, কাটমানি থেকে সরকারি খাস জমি বিক্রি বারবার বিতর্কে গড়বেতার কড়সা। বারবার কড়সা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় বিজেপির তরফে দুর্নীতির রাজধানী বলে কটাক্ষ করা হলো।
সালটা ২০২২ হঠাৎ খবরের শিরোনামে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ৩ নং ব্লকের তরুঘাতক কড়সা গ্রাম পঞ্চায়েত। বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগে প্রশাসনের নজরে চলে আসে কড়সা। নাম জড়ায় স্থানীয় শাসকদলের নেতৃত্ব থেকে তৎকালীন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। কড়সা অঞ্চল বারবার থেকেছে খবরের শিরোনামে ফের খবরে গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনারোডের কড়সা এবার অভিযোগ সরকারি খাস জমি দখল করে বিক্রির। সেই খবরে মশগুল গোটা গড়বেতা ৩ নং ব্লকের রাজনৈতিক মহল। কখনও কেঁউদি জামবনী গ্রামে একাধিক গাছ বিনা অনুমতিতে কেটে বিক্রি কখনো তাড়া গ্রামে মোরাম পাচার কখনো কড়সার বুকে খাস জমি বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করা, বারবার বিতর্কে কেন কড়সা অঞ্চল সেই নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে তখন তা নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় শাসক দল। বরং এই ঘটনার পরেও মাথা উঁচু করে বহাল তবিয়তে সাংগঠনিক মাথার শীর্ষে রাখা হয়েছে তাদেরই যারা ওই ঘটনায় জড়িত ছিল। এবার তাদেরই একজনের নাম জড়ালো জমি দখল করে বিক্রির অভিযোগের ঘটনাতে। যা নিয়ে বর্তমানে চা এর দোকান থেকে শাসকের কর্মীদের সবার মধ্যেই উঠছে আলাদা প্রশ্নও কেউ কেউ দাবী করছে গড়বেতা ৩ নং ব্লকের নেতৃত্বে বদল ঘটেছে ঠিকই কিন্তু বদলায় নী সেই চেনা চিত্র নিয়মিত ঘটছে গাছ কাটার ঘটনা থেকে মাটি পাচার জমি বিক্রি তোলা আদায় তবে কী তৎকালীন ব্লক নেতৃত্ব নির্দোষ ছিল এবং আঙুল তোলাটাও অমূলক ভুল ছিল আর সমস্যাটা নিয়মতান্ত্রিক পরিকাঠামো ও সাংগঠনিক ক্ষেত্রে।
সামনেই শাসকদলের একুশে জুলাই এর কর্মসূচির মুখে এই ধরনের বিতর্কিত ঘটনায় যথেষ্টই প্রশ্নের মুখে কড়সা অঞ্চল নেতৃত্ব। একুশে জুলাই এর কর্মসূচিতে না যোগ দিয়ে এই ধরনের সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করে নিজের আখের গুছানো কি ধরনের সমাজসেবা সে নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। অথচ কোন সামাজিক কর্মসূচিতে সামনের চেয়ারে সমাজসেবী তকমা নিয়ে এরাই কর্মসূচি নির্বাহ করে। তাই এদের সাংগঠনিক গ্রহণযোগ্যতা ও সামাজিক স্তরে দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কড়সা অঞ্চলের বাসিন্দারা।
এ নিয়ে বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল মানেই তো দাদাগিরি, তৃণমূল কংগ্রেসের নব্বই শতাংশ ভোট বাক্স ও নেতাদের নোট বাক্স দুটোই ভরায় কড়সা। তাই কড়সা জুড়ে আলাদা আইন, আলাদা সংবিধান চলে। কড়সা মানে তো দুর্নীতির রাজধানী। সমস্ত দুর্নীতির আখড়া ও পীঠস্থান কড়সা। এমনটাই কটাক্ষ বিজেপির।
অবশ্য শাসক দলের পক্ষে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শাসক দলের তরফে জানানো হয়েছে প্রশাসন রয়েছে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। কেউ দোষী হলে আইন তাকে শাস্তি দেবে।
এখন দেখার প্রকৃত দোষীদের প্রয়োজনীয় শাস্তি হয়। নাকি কড়সা থাকে কড়সাতেই।