সরকারি জায়গায় ব্যবসা করার অনুমতি দিয়ে তোলাবাজি শাসকের
সুমন পাত্র, চন্দ্রকোনারোড :- উড়ালপুলের দুই পাশে সবজি থেকে চায়ের দোকান বানানোর জায়গা বিক্রি করছে অসাধু চক্র। শাসক দলের জড়িত থাকা নিয়ে জোর গুঞ্জন।
মায়ের চেয়ে বড় ধর্ম হয় না ব্যবসার চেয়ে বড় কর্ম হয় না। এই নীতিতে বিশ্বাসী চন্দ্রকোনা রোড পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী শহর। এখানে আলু থেকে সবজি রেলের রেক পয়েন্ট থেকে হাজার হাজার গাড়ির ব্যবসা নিত্যদিন রোজ রুটি যোগায় চন্দ্রকোনা রোডবাসীর। তাই চন্দ্রকোনা রোডের ৬০% মানুষ ব্যবসায় যুক্ত, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছোট ছোট গুমটি থেকে চায়ের দোকান চন্দ্রকোনা রোডে রোজ কোন না কোন অংশে ক্রমবর্ধমান।
এবার তেমনই এক চিত্র উঠে এল আমাদের ক্যামেরায়। চন্দ্রকোনা রোডে যানজট কমাতে রেলের ওভারব্রিজ নির্মাণ চলছে কুবাই নদীতে ওভার ব্রিজ নির্মাণ হয়ে গেলে দুই পাশে যথেষ্ট জায়গা পাওয়া যাবে এবং ব্যবসা হবে রমরমিয়ে সেই বিষয়টা মাথায় রেখে শাসক ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু অসাধুচক্র কুবাই নদীর ওভারব্রিজের দুই পাশে ছোট দোকান বসানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে বলে বিশেষ সূত্রে খবর। একটি সূত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে। জায়গার লোকেশন অনুযায়ী বিভিন্ন দরদাম হাঁকাচ্ছে ওই অসাধুচক্র। জায়গা বেশি হলে যেমন দর বেশি তেমন সামনের জায়গা জায়গার মূল্য বেশ চড়া। কোথাও গুমটি করে পান সহ স্টেশনারি, কোথাও চায়ের দোকান বসানোর নামে অর্থ সংগ্রহ চলছে বলে খবর।
সরকারী জায়গাকে এইভাবে বিক্রি করা যায় কি সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিরোধী দলের বক্তব্য সরকারি খাস জমি প্রায় সমস্তই বিক্রি করে দিয়েছেন শাসকদলের ঘনিষ্ঠ সাতবাঁকুড়ার এক বড় নেতা। তিনি খাস জায়গা বিক্রি করে বাড়িতে সোনার গনেশ কিনেছেন। যদিও এবার উড়ালপুলের দুই পাশে জায়গা বিক্রি থেকে তার নাম রয়েছে কী না সে বিষয়ে চন্দ্রকোনারোড জুড়ে শুরু হয়েছে জোড় গুঞ্জন।
শাসক দলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে। এমন ঘটনা হতে দেওয়া যাবে না দল ও প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। যদি এমনটা হয়েও থাকে শাসকদলের কেউ জড়িত নয়।
মুখ্যমন্ত্রী বারবার যখন বেআইনি দখলকারীদের বসতে না দিয়ে করা ব্যবস্থার কথা বলছেন। তখন এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রশাসনের কাছে বিড়ম্বনার সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, এখন দেখার উড়ালপুলের দুই পাস পরিচ্ছন্ন থাকে নাকি অর্থের কাছে মাথা নত করে প্রশাসন থেকে শাসকদল।