যুদ্ধের মুখোমুখি ইসরাইল ও ইরান, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডঙ্কা
সুমন পাত্র, গাজা :- চরমে দ্বন্দ্ব, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হল বলে! ইরানে ঢুকে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইলকে হত্যা করেছে ইজরায়েল। আর তারপরই পাল্টা জবাব দেওয়ার চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যে যুদ্ধ ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে শুরু হয়েছিল, তা পুরোদমে ইজরায়েল-ইরানের যুদ্ধে পরিণত হতে পারে যে কোনও সময়েই। তেহরান সমর্থিত সন্ত্রাস গোষ্ঠীও ইজরায়েলের থেকে চরম বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। লেবাননের সঙ্গেও লাগতে পারে যুদ্ধ। আপাতত গোটা বিশ্বেরই নজর এই সম্ভাব্য যুদ্ধের দিকে।
শনিবারই ইরানের রেভেলিউশনারি গার্ড হুমকি দিয়ে জানায় যে হামাস প্রধান হানিয়ে-কে হত্যার চরম মাশুল গুনতে হবে ইজরায়েলকে। একদিকে যেখানে ইরানের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে, সেই সময়ই হিজবুল্লার মিলিটারি কম্যান্ডার ফুয়াদ সুকর-কেও হামলা চালিয়ে খতম করেছে ইজরায়েল। এই হামলার পর লেবাননও হাত গুটিয়ে থাকবে না বলেই জানিয়েছে। প্যালেস্তাইনের হামাস গোষ্ঠীর হামলা তো জারিই রয়েছে। ফলে এখন তিনদিক থেকে যুদ্ধের মুখে ইজরায়েল।
এদিকে, যুদ্ধের সম্ভাবনা যত বাড়ছে, ততই উদ্বেগ বাড়ছে বাকি দেশগুলির। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, পোল্যান্ড সহ একাধিক দেশ ইজরায়েল ও মধ্য প্রাচ্যে থাকা নিজেদর নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে এবং প্রয়োজন মতো অবিলম্বে দেশ ছেড়ে চলে আসার পরামর্শ দিয়েছে।
ইরানের রেভেলিউশনারি গার্ড শনিবারই বিবৃতিতে সাফ জানিয়েছে, হামাস প্রধান হানিয়েকে হত্যা করেছে ইজরায়েল। এর পিছনে সমর্থন রয়েছে আমেরিকার। সঠিক সময়ে, সঠিক স্থান ও পদ্ধতিতে এই হামলার চরম জবাব দেওয়া হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
অন্যদিকে, হিজবুল্লাকেও তাদের কম্যান্ডার সুকরের হত্যার বদলা নিতে উসকাচ্ছে তেহরান। গতকালই বলা হয়েছে যে তেহরান আশা করছে লেবানন আর শুধু ইজরায়েলের সামরিক শক্তির উপরে হামলায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। আরও গভীরে গিয়ে যেন হামলা চালানো হয়।
এদিকে, পেন্টাগনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে ইজরায়েলক যুদ্ধে সাহায্য করতে তারা আরও যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যে।
একদিকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, অন্যদিকে পৃথিবীর মধ্যভাগের দুটি দেশ ইজরায়েল ও ইরান যুদ্ধ জড়িয়ে পড়লে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে বেশি দেরি নেই সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।