বসিরহাটের সাংসদ হাজী নুরুল ইসলামের ইন্তেকাল
নিজস্ব প্রতিনিধি, সেখ আব্দুল আজিম :
সাংসদ হাজী নুরুল ইসলামের ইন্তেকালের সংবাদ শুনে আমি মর্মাহত। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করি চলার পথে তার সমস্ত ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রদান করেন আমিন।
প্রসঙ্গত সুমিষ্টভাষী হাজী সাহেব ছিলেন আমার অত্যন্ত কাছের মানুষ। তার ইন্তেকালে আমি মর্মাহত আমি হারালাম এক আপন জনকে। একের পর এক রাজনীতির আঙিনায় জয়যুক্ত, শুধু একবার পরাজয় এর মুখ দেখতে হয়েছিল তাকে হয, শেষবার তিনি বসিরহাটের সাংসদ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিলেন। তিনি দু-দোবার রাজ্য হক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালিন রাজ্য হজ কমিটির তরফে তারই হাত ধরে রাজ্য সরকারের উক্ত হজ কমিটির মোমেন্টো দিয়ে আমাকে সম্মান প্রদান করা হয়, আজও সেই সম্মান সবচেয়ে বড় সম্মান বলে আমি মনে করি, রাখা রয়েছে আমার অফিসে।
মরহুমের পরিবারের সকলকে আমার আন্তরিক গভীর সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করি আল্লাহ পাক তাদের পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের সবর দান করেন আমিন।
রাজ্যের হজ কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালীন আমি যখনই হজ হাউসে গেছি তখনই তার ব্যাক্তিগত রুমে আমাকে ডেকে নিয়েছেন হাসিমুখে কত কথা বলেছেন। আজও মনে পড়ে আমার, রাজ্য হজ হাউসে এ যখন মিটিং হতো সেদিনের কথা কিন্তু আমি ভুলতে পারবো না। হজের খবর কজন করতেন আমার হাতে গোনা তারমধ্যে আমি একজন। হজযাত্রীর হজপত্র পালনের প্রথম দিন বা অন্যান্য দিন যখন হজযাত্রীদের শুভেচ্ছা জানাবার রাজ্য কমিটি তরফ থেকে তোফা দেওয়া হত, বিমানবন্দরে থাকতেন পাশাপাশি আমিও তার সাথে থাকতাম। কি দারুন অভিজ্ঞতা, আবার আজও মনে পড়ে সুমিষ্ট হাসি মরহুম হাজী সাহেব আমার স্বচক্ষে দেখা ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা মাথায় সাদা টুপি চির বিদায় নেবার সময় সাদা ধবধবে কাফন পরিয়ে বিদায় জানাবেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ চোখের জলে।
(শোকবার্তায় সাংবাদিক সেখ আব্দুল আজিম)