অভিনব! পথ শিশুদের কাছে ‘আলো’ হয়ে শিলিগুড়ি মডেলা কেয়ারটেকার সেন্টার ও স্কুল
ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি, সিঙ্গুর টিভি নিউজ : ময়না দোকান যায় না, তবু করে বায়না …* আশাপূর্ণা দেবীর (বায়না) এই কবিতাটি ছোটোবেলায় পড়িনি এমন আছে ক’জন? তবে সেই ময়না পাখি আজ ভিন্ন রূপে শিলিগুড়ি শহরের আদ্যোপান্তে! তাঁরা আজ শিশুর রূপ নিয়েছে। অসহায়, অভুক্ত তথা দীনদরিদ্রতায় জরাজীর্ণ। আর ওদের দিনেই ওদের দিকে চেয়ে থাকার কেউ নেই!
প্রতিবছরই ১৪ নভেম্বর পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনকে উদযাপিত করা হয় শিশুদের দিন হিসেবে; শিশু দিবস হিসেবে। আর সেই শিশু দিবসেই “ও দাদা, ও দিদি কিছু দাও না … খাব” বলে অভুক্ত উদরের কাতর আর্তি ওদের। তাই এবার ওদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলো শিলিগুড়ি শহরে অত্যন্ত স্বনামধন্য (ইংরেজি মাধ্যম) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিলিগুড়ি মডেলা কেয়ারটেকার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল। বৃহস্পতিবার, বিদ্যালয়ের একঝাঁক পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা শহরের বিভিন্ন নীচুবস্তি এলাকায় ভ্রমণ করেন। এবং সেখানকার শিশুদের হাতে “এক থলি হাসি” তুলে দেন। যার মধ্যে সুষম আহারের পাশাপাশি ছিল একটি করে চকোলেট। যা ওই ভবঘুরে ময়নাদের মুখে চাঁদের আভা ফুটিয়ে তোলে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষিকা সুহাষিনী বসু বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের তরফে সদাই প্রচেষ্টা থাকে অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর। আজও আমরা তাঁর বিরূপ হয়নি। আজ এই কর্মকাণ্ডের জন্য আমি সামগ্রিকভাবে সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
বিদ্যালয়ের সেক্রেটারি শ্রীমতি সংযুক্তা বোস বলেন, ‘আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪৬ বছরের পুরোনো। রেবা বোসের মস্তিষ্কপ্রসূত এক আলয়। এখানে আমরা একটি পরিবারের ন্যায় কাজ করি। শিক্ষার পাশাপাশি, আমরা সামগ্রিক বিচারবোধের ওপরও কাজ করি। তারই এক একক প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ এই উদ্যোগ। আজকের এই অভিনব প্রচেষ্টার এক অঙ্গ হতে পেরে যতটা না খুশি হতে পেরেছি। তার চাইতে বেশি ভালো লাগছে ওই শিশুগুলো মুখে হাসি দেখে। আমি আমার সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা মণ্ডলীকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের ছাড়া এই কাজ সম্ভবপর হত না।’