নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি,৮ জুলাই:- শ্রমিক কর্মচারী মেহনতী মানুষের স্বার্থ বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে ৯ই জুলাই দেশব্যাপী ধর্মঘটের সমর্থনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি শহরের বড় পোস্ট অফিস মোড় থেকে শ্রমিক কর্মচারী মেহনতি মানুষের এক বিরাট মিছিল শহর পরিক্রমা করে কর্মচারী ভবনে গিয়ে শেষ হয়। বিভিন্ন বামপন্থী শ্রমিক, কর্মচারী, কৃষক সংগঠন ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিলে প্রথম সারিতে উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন কর্মচারী আন্দোলনের নেতৃত্ব বাণীব্রত ঘোষ, প্রদীপ কর্মকার, ব্যাংক কর্মচারী আন্দোলনের নেতৃত্ব মৃণাল রায়, বীমা কর্মচারী আন্দোলনের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব ধ্রুবজ্যোতি গাঙ্গুলী, সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য নেতৃত্ব সলিল আচার্য, অগ্রগামী কৃষক সভার রাজ্য নেতৃত্ব গোবিন্দ রায়, সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্য, শ্রমিক নেতা প্রদীপ গোস্বামী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মিছিল বড়ো পোস্ট অফিস মোড় থেকে শুরু হয়ে থানা মোড়, মার্চেন্ট রোড, দিনবাজার, বেগুনটারি, কদমতলা, ডি বি সি রোড হয়ে কর্মচারী ভবনে গিয়ে শেষ হয় মিছিলের শ্লোগান ওঠে, চা শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি অবিলম্বে চালুর দাবিতে ধর্মঘট সফল করুন, শ্রমিক কর্মচারীর অর্জিত অধিকার কেড়ে নিতে দিচ্ছি না দেব না, ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি সুরক্ষিত রাখতে ৯ জুলাই এর ধর্মঘট সফল করুন।
মিছিল শেষে নেতৃবৃন্দ ধর্মঘটক সফল করার জন্য সমস্ত অংশের শ্রমজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান। মঙ্গলবার রাতে ৯ই জুলাই এর ধর্মঘটকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে জলপাইগুড়ি শহরের বুকে মশাল মিছিল করে এসএফআই ডিআইএফআই মিছিলে নেতৃত্ব দেন এসএফআই জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক অরিন্দম ঘোষ,জেলা নেতা অর্ণব সরকার, পাপাই মহম্মদ ডি এফ আই জেলা সম্পাদক বেদব্রত ঘোষ, রাজ্য নেতৃত্ব দেবরাজ বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১২ই জুলাই কমিটির উদ্যোগে ধর্মঘটকে সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় পথসভা সংঘটিত হয়।
এর পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন দোকানে ছাত্র যুব মহিলাদের উদ্যোগে বন্ধের সমর্থনে লিফলেট বিলি করে শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে লিফলেটের মাধ্যমে আবেদন জানিয়ে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে ৯ই জুলাইয়ের ধর্মঘটকে সফল করতে বিরাট কেন্দ্রীয় মিছিল জলপাইগুড়িতে।
তথ্য ও ছবি :
দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি