সোশ্যাল মিডিয়ায় উষ্ণতার সাথে গোপনে পাকিস্তানকে তথ্য পাচার! চিনে নিন লাস্যময়ী ‘দেশদ্রোহী’কে
আগুন রূপের আড়ালে চলত ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র
সিঙ্গুর টিভি নিউজ ওয়েবডেস্ক: পেশায় তিনি সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। লাস্রযময়ী রমনী’র ইউটিউব, ফেসবুক, ইনসটাগ্রামে অনুগামীদেরর সংখ্যাও খুব একটা কম তা’কিন্তু নয়। এবার সেই রূপ যৌবনের আড়ালে আবডালে চলতো ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।

তাঁর দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডের তথ্য ফাঁস হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন হরিয়ানার বাসিন্দা জ্যোতি মালহোত্রা। এরপরই তাঁর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে উঁকি দিতে শুরু করেছে গোটা দেশ।
শনিবার পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ছয় ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে তিনি অন্যতম। জানা গিয়েছে, চরবৃত্তি আড়ালে চালাতেন জ্য়োতি। আর গোটা বিশ্বের সামনে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার। কিন্তু কীভাবে ইউটিউবার থেকে পাক গুপ্তচরে পরিণত হল জ্যোতি?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিল জ্যোতি। সেই সফরের জন্যই ভিসা আবেদনের সময় নয়াদিল্লিতে পাক হাইকমিশনে কর্মরত এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। বলে রাখা ভাল, এই দানিশকেই কিন্তু ‘অবাঞ্চিত’ আখ্যান দিয়ে গতমাসে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার। সেই দানিশের সঙ্গেই আবার ‘মধুর’ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল জ্যোতির।
সূত্রের খবর, এই দানিশের হাত ধরেই পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর একাধিক এজেন্টের সঙ্গে আলাপ হয় শাকির ওরফে রানা শাহবাজের। যার নম্বর নিজের ফোনে জাট রানধওয়া বলে সেভ করে রেখেছিল অভিযুক্ত জ্যোতি। এমনকি, সেই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম মাধ্যমে দেশ-সম্পর্কিত একাধিক সংবেদনশীল তথ্য পাঠাত সে। জানা গিয়েছে, ISI এজেন্টের সঙ্গে কিন্তু বালি, ইন্দোনেশিয়ার মতো একাধিক জায়গায় ঘুরতেও গিয়েছিল জ্যোতি। তাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি তদন্তকারীদের।