বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু এখন ভারতের মুকুটে এক গর্বের পালক, নাম চেনাব ব্রিজ
সিঙ্গুর টিভি নিউজ ওয়েবডেস্ক : কাশ্মীরের গা-ছমছমে উপত্যকা পেরিয়ে চেনাব নদীর উপরে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ইতিহাস। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু এখন ভারতের মুকুটে এক গর্বের পালক। নাম — চেনাব ব্রিজ। আর এই প্রকল্পের নেপথ্যে কেন্দ্রের অদম্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও রেল মন্ত্রকের প্রযুক্তিগত দাপট।
সেতুটির উচ্চতা ৩৫৯ মিটার — ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারকেও ছাড়িয়ে গেছে। এক হাজার তিনশো মিটার দীর্ঘ এই ইস্পাত-কংক্রিটের দানব আজ শুধু কাশ্মীরকে নয়, গোটা ভারতকেই এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিল।ভারতীয় রেলের দাবি, এ হল প্রকৌশলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। কেন্দ্র বলছে, এটি কেবলমাত্র অবকাঠামো নির্মাণ নয়, বরং ‘নতুন ভারত’-এর প্রতীক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একে বলেছেন, “কাশ্মীরের সঙ্গে দেশের সংযোগের সেতুবন্ধন।” দেশের নানা প্রান্ত থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন বার্তা উড়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে।চেনাব ব্রিজের নির্মাণ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক বাধা পেরিয়ে অবশেষে সেই স্বপ্ন সফল হল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে। এই সেতুর মাধ্যমে উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুলা রেল সংযোগ সম্পূর্ণ হওয়ার পথ প্রশস্ত হল।
তবে শুধু প্রকৌশল নয়, এই সেতু বহন করছে কূটনৈতিক বার্তাও।কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান যতই বিরোধ তোলার চেষ্টা করুক, ভারত তার ভূখণ্ডে উন্নয়নের কাজ থামাবে না, সেই বার্তা স্পষ্ট করে দিল দিল্লি।কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দারাও জানাচ্ছেন স্বস্তির কথা।বাঁধভাঙ্গা খুশির উচ্ছ্বাস রেয়াসির সাধারণ মানুষদের মধ্যে।রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “এই সেতু প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর বাস্তব রূপ।”
ভারতের ইতিহাসে রেল যেমন বারবার অগ্রগতির চালক হয়েছে, চেনাব ব্রিজ সেই ঐতিহ্যকে এক নতুন মোড় দিল। পাহাড়, নদী আর দুর্ভেদ্য ভূপ্রকৃতি — কিছুই থামাতে পারেনি এই দেশের অদম্য গতিকে …
ভারতবর্ষ দুর্বার গতিতে এগোচ্ছে বিশ্বগুরুর আসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে, নাগরিক হিসাবে চলুন আমরাও সম্মানের সেই দৌড়ে সামিল হই …
তথ্যসূত্র : Rohit Pashi (#পরশুরাম)