ইংরেজী নববর্ষে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সিঙ্গুরবাসী
সৌরভ আদক, সিঙ্গুর, হুগলী : ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনেই সকাল ৬টা থেকে আবারো প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হলেন সিঙ্গুরবাসী। তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সিঙ্গুর থেকে চালু করেছিলেন সিঙ্গুর “আন্দোলন লোকাল” এর। এরপর থেকে সিঙ্গুর তথা আপামর মানুষের কাছে এই ‘আন্দোলন লোকাল’ মানুষের নিত্যদিনের যারা কর্মসূত্রে কোলকাতা কিংবা অন্যান্য জায়গায় কাজে যান তাদের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়েছিলো।
নববর্ষের প্রথম দিনেই ভোর ৬টা থেকেই সিঙ্গুর রেলস্টেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে বৃহৎ প্রতিবাদী কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়, তাতে মন্ত্রী তথা সিঙ্গুর বিধানসভার বিধায়ক বেচারাম মান্না, হরিপাল বিধানসভার বিধায়ক ডাঃ করবী মান্না ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ববৃন্দ।
সিঙ্গুরের কৃষকদের আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে, সিঙ্গুরের রেল যাত্রীদের জন্য ২০০৯ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই লোকাল ট্রেন চালু করেছিলেন। কিন্তু বুধবার থেকে আর থাকছে না এই সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল।
নববর্ষের প্রথম দিনেই আন্দোলনে নামেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
বেচারাম মান্না বলেন, “পূর্বরেলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল চলবে তারকেশ্বর পর্যন্ত। তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরবাসীর জন্য সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল দিয়েছিলেন। সিঙ্গুর একটি জনবহুল এলাকা। এই স্টেশন দিয়ে ৫২ টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। সিঙ্গুর লোকাল থাকায় স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারতেন তাঁরা। পূর্বরেল চক্রান্ত করে এই ট্রেনটিকে তারকেশ্বর পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাইছে।” বুধবার সকালে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনেই সিঙ্গুর স্টেশনে হাজির হলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র অবশ্য জানান,যাত্রীদের চাহিদা আছে। সেই অনুযায়ী দুটি সিঙ্গুর লোকালের একটি তারকেশ্বর থেকে একটি হরিপাল থেকে চলবে। তাতে সিঙ্গুরের যাত্রীদেরও সুবিধা হবে। ট্রেন তুলে নেওয়া হয়নি।
বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ কটাক্ষ করে বলেন, “মানুষের যদি রেল কর্তৃপক্ষ সিঙ্গুর লোকাল কে হরিপাল কিংবা তারকেশ্বর পর্যন্ত এক্সটেনশন করায় তাতে মন্ত্রী মশাইয়ের সমস্যা কোথায়, তাতে তো সাধারণ মানুষেরই সুবিধা হবে। মানুষ আগে যেখানে সিঙ্গুর পর্যন্ত হাওড়া থেকে আসতো, সেখানে আগামীদিনে হরিপাল ও তারকেশ্বর পর্যন্ত মানুষ যেতে পারবে।আসলে মন্ত্রী মশাইয়ের আর কেনে কাজ নেই, তাই সিঙ্গুর স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে আলে গেছেন। নেই কাজ তো, খই ভাজ।”