অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন দীঘার জগন্নাথ মন্দির, তীব্র কটাক্ষেনবিঁধলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
সুমন পাত্র, পশ্চিম মেদিনীপুর:- আগামী বুধবার উদ্বোধন হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। অবিভক্ত মেদিনীপুর জুড়ে সাজো সাজো রব। উদ্বোধনের খবর জানিয়ে চলছে মাইকে প্রচার। রাজ্যের প্রতিটা তৃণমূলের সাংগঠনিক অঞ্চল থেকেও উদ্বোধনের ছবি দেখা যাবে জানালো তৃণমূল।
এই উদ্বোধন নিয়ে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। আবার শুভেন্দু অধিকারী কাঁথিতে সনাতনীদের নিয়ে সভা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। তারপরেই অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সাথে এই উদ্বোধনের দিন দক্ষিণ পূর্ব রেলের দীঘা-পাঁশকুড়া শাখায় বেশকিছু ট্রেন নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেরি করে নী তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কি আরেকবার হিন্দুত্বের শান দিয়ে বাজি জিততে চাইছে বিজেপি? জগন্নাথ মন্দির গড়ে হিন্দুদের কাছে পেতে চাইছে তৃণমূল? জগন্নাথ মন্দির নিয়ে ফের গরম বাংলার রাজনীতি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় ২০১৮ সালে পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। মন্দিরের বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালের ২০ই আগস্ট ঘোষণা করেছিলেন যে মন্দিরের নির্মাণ দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে। সমুদ্রের ধারে দীঘাস্থিত পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের জায়গাতেই নতুন মন্দির গড়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে পরিবেশগত নিষেধাজ্ঞায় সেখানে মন্দির নির্মাণ করা যায়নি। পরে দিঘা স্টেশনের পাশে মন্দির তৈরির জন্য জমি নির্বাচন করা হয়েছিল। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ মন্দিরের জন্য ২০ একর জমি প্রদান করে। মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব হিডকো-কে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। নির্মাণ কাজের ব্যয় হিসাবে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।
অক্ষয় তৃতীয়ায় নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া এবার সেই জগন্নাথ মন্দিরে নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। বুধবার দিন সেই মন্দির উদ্বোধন করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্য সচিব থেকে শুরু করে বেশ কিছু মন্ত্রী ও আমলা এবং আধিকারিকেরা।
বিজেপি হোক সিপিএম হোক কিংবা তৃণমূল ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেস বাংলার রাজনীতিতে বরাবর মেদিনীপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই আবহে দাঁড়িয়ে সামনেই ২০২৬-এ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন জিতে সরকার গড়তে দরকার ১৪৮ টি আসন। দীঘার জগন্নাথ মন্দির কি তৃণমূলকে পৌঁছে দেবে একশো আটচল্লিশে। নাকি শেষ হাসি হাসবে বিজেপি কিংবা সিপিএম কংগ্রেসের জোট জানতে চায় মেদিনীপুর।