সকাল থেকে ইডি-র তল্লাশি চলছে আরামবাগে। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকা দিলীপ মাইতির বাড়িতে হাজির হন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। দিলীপ মাইতি আরামবাগের এলএফএস ব্রোকিং অর্থাৎ শেয়ার মার্কেটিং-এর এক কর্ণধার বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সকাল থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে।
অভিযোগ, এই শেয়ার মার্কেটিং-এ বহু মানুষ কষ্টার্জিত অর্থ গচ্ছিত রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনও টাকা ফেরত পাননি। আর সেই কারণে কয়েকজন আত্মহত্যাও করেছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, আরামবাগের এলএফএসের অফিসের পাঁচতলা থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুও রহস্যজনক। আপাতত দিলীপের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপরদিকে এই দিলীপের নামেই নাকি এলএফএসের লাইসেন্স। সেইসব অভিযোগের জেরেই এই ইডির হানা।
তবে শুধু দিলীপ মাইতির বাড়ি নয়, একইসঙ্গে পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছিল ইডি। দিলীপ মাইতির পাশাপাশি সৌরভ অধিকারী, সাহিল শেখ ও অলোক রায়ের বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
অন্যদিকে, আরামবাগের মায়াপুর দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে আরামবাগ রিসর্ট ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেখানেও চলছে তল্লাশি। আরামবাগ রিসর্টের কর্ণধার জিয়াজুর রহমান বর্তমানে জেলবন্দি। জিয়াজুরের ভারতের বাইরে অর্থাৎ বাংলাদেশ ও সৌদিতে ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে। আরামবাগ থেকে বেনামে শেয়ার ট্রেডিং কোম্পানি চালাতেন এই জিয়াজুর রহমান। জিয়াজুলের ঘনিষ্ঠ এই চারজনের বাড়িতেই চলছে তল্লাশি।