আমলাশোলের ছায়া ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে
সুমন পাত্র, পশ্চিম মেদিনীপুর, সিঙ্গুর টিভি নিউজ : দারিদ্র আর অনাহার নিত্য সঙ্গী সাহায্য মেলেনি প্রশাসনের। অভুক্ত ব্রাহ্মণ পরিবার বাঁচতে চায়।ল
শেষ রেশনের চাল, কেটে গেছে প্রায় ছয়টা দিন গত ছদিন ধরে বাড়িতে কোন রকম রান্না হয় নী জ্বলেনী উনুন সম্পূর্ণ অভুক্ত রয়েছেন অপূর্ব রায়ের পরিবার। জোটেনি একমুঠো মুড়িও, অপূর্ব রায়, পিতা রামচন্দ্র রায়, গ্রাম বনকাটি, পোস্ট মায়তা, জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা অপূর্ব রায় জানিয়েছেন। আমি আগে স্টোরে কাজ করতাম তারপর কাজের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করছি অনেকে আশ্বাস দিলেও কাজ পাইনি গত এক মাস। বর্তমানে রেশনের চাল সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ছ’দিন ধরে কোনরকম খাবারের সংস্থান করতেও পারিনি। এই অবস্থায় দিন কাটছে আমাদের।
অপূর্ব রায়ের বাবার বয়স ৬৫ বছর হিন্দু ব্রাহ্মণ বর্তমানে বেকার কোনক্রমে অন্যের বাড়িতে পূজার্চনা করে দিন কাটে মা ৬২ বছরের গৃহবধূ ও বেকার বর্তমানে এই অবস্থা সহ্য করতে না পেরে হার্ট অ্যাটাক করে বাঁকুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রশাসনিক সহযোগিতা ও সাহায্যের আবেদন করেও কোনরকম সুরাহা হয়নি।
মাটির একটি ছোট্ট বাড়িতে থাকা অপূর্ব রায় জানিয়েছেন আমরা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত নই। হিন্দু ব্রাহ্মণ অন্যের বাড়িতে পূজা অর্চনা করেই আমাদের দিন গুজরান হয়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে বারবার ছুটে গিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানিয়েও কোনো রকম বাড়ি পাওয়া থেকে শুরু করে খাদ্য সংস্থানের সাহায্যের ব্যবস্থা করতে পারিনি।
এই অবস্থা জানিয়ে দেয় আমলাশোল হারিয়ে যায়নি ঢেকে গিয়েছে প্রচারের আলোয়। শুধু সন্ধান করে তুলে আনতে হবে খবরের প্রথম পাতায়।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় আমলাশোল ছিল মেদিনীপুর জেলাতেই। আজও বনকাটি সেই মেদিনীপুর জেলারই এক প্রত্যন্ত গ্রাম এই জেলারই অংশ।
চিৎকার করে অপূর্ব জানতে চায় এই জেলা থেকে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে শিল্পের উদ্বোধন করল তাতে যে আলো জ্বলবে সেই আলো কি উন্নয়নের?